যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে ১১. ডাক্টার আহবাব সান্ত্বনার সুরে কথা বললেও, যে কঠিন সত্যটা আসমাকে জানালেন তা হলো নীতুকে কতদিন রিহ্যাব সেন্টারে রাখতে হতে পারে সেটা তিনি নিশ্চিত বলতে পারছেননা। তবে মিনিমাম চার সপ্তাহ, ম্যাক্সিমাম ছয় মাসেরও বেশী। তবে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার যে বিষয়টি...
বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ কবি উইলিয়াম ব্লেক এর জন্ম লন্ডনে। ১৭৫৭ সালে। ১৭৫৭ সাল! কী রকম গা ছমছম করা সাল। কলঙ্কিত একটা...
বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ একটু আগে এসে ফারুকের পাশে সোফায় বসেছে রুমা । টিভির দিকে চোখ । টিভিতে দীপায়ন রিয়েল এস্টেট-এর...
বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ আজ বাড়ি ফিরতে রাত এগারোটার মতো বাজল। গলির ভিতরে দুর্গন্ধ, অনেকটা অন্ধকার । এমনিতেই ক’দিন...
(এক) অনির্বানের দু\'চোখ ভরা বিস্ময় । ভোরে সূর্যের আলোটা মুখে পরতেই তাকায়ে দেখল তার মা জানালা খোলে দিয়ে চলে গেল ।জানালার ফাঁক দিয়ে মিষ্টি সূর্যের আলো দেখে সে নিশ্চিত হল সকাল হয়েছে । সে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করল বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য । কিছুক্ষণ আগে এক পশলা বৃষ্টি এসে ফুলগুলোকে...
বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ দূর থেকে বুড়িমাকে আসতে দেখল দীপা । থুত্থুরে বুড়িমা লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটছে। বুড়িমার শনের...
আজ শ্রাবনীর মনটা খুব ভালো । চাকুরী জীবনের প্রথম বেতন হাতে । এলিফ্যান্ট রোডের ক্যাটস আই থেকে ছোট ভাই সজীবের জন্য একটি শার্ট কিনেছে । তমালের জন্যও একটি কেনার ইচ্ছে হয়েছিল কিন্তু আজ নয় অন্য একদিন ওকে সাথে নিয়ে আসবে ভেবে বেইলী রোড যাচ্ছে মায়ের জন্য একটি শাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে । নিজেকে খুব...
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে ৪. শরীফ সাহেবের বাসায় লোকমান এসেছে আজ চার বছর হতে চলল। বাসার চা বানানোর দ্বায়িত্ব শুধু তার। শুধু চা বানানোর জন্য একজন লোক রাখে মানুষ, এধারনা লোকমানের ছিলনা। তবে তার নিজের বানানো চা যে খেতে অসাধারণ এটা সে জানত অনেকদিন থেকেই। বাবার কাছে একেবারে...
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে ৬. অনেকদিন পর আজ ইতুদের বাড়ীতে সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা দিন যাচ্ছে। দুপুরে মিন্টুর ফোন আসার পর হঠাৎ করেই "ইতুর কাস্টডী"র চেয়ে "মিন্টু কেন ইতুকে ফোন করবে" এটা পারিবারিক আলোচনার মূল বইষয় হয়ে গেল। উকিলচাচা বুদ্ধিমান লোক, দুপুরের খাবার খেতে খেতেই ঘটনার...
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে ২. বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে ইতু সাতপাঁচ ভাবছে। এরপর কি ঘটবে, বাবা-মা কি আসলেই ডিভোর্স করবে, নাকি মামা-চাচারা মিলে মিটমাট করিয়ে দেবে -- এটা সেটা। হঠাৎ করেই ফোনটা বেজে ওঠে, ইতুর বান্ধবী এলিনের ফোন। এলিন চটপটে ডানপিটে ধরনের, এবং একইসাথে ভীষন...
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে ১. চায়ের কাপ হাতে একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ইতু, হাল্কাচালে মাথা দোলাচ্ছে। যেদিন ভার্সিটির ক্লাস থাকেনা সেদিন সকাল ন'টা-দশটার দিকের এই চা খাওয়াটা সে খুব উপভোগ করে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাবার শখের অর্কিডগুলো দেখে, মাঝেমাঝে দুএকটা চড়ুই-শালিক উড়ে এসে বসে,...
চারপাশটাতে ছড়িয়ে আছে অসাধারন সব কিছু আর এই সব কিছুর মাঝে আমি খুবই সাধারন একজন... আমি এক খুব সাধারণ মানুষ। আট দশটা মানুষের মত আমারও অনেক স্বপ্ন ছিল। সেই ছোটবেলায় মা বলতো ছেলে আমার বড় হয়ে ব্যারিষ্টার হবে, বাবা বলতো বি সি এস ক্যাডার। আমি ও ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলাম। যেহেতু বাবা সরকারী...
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে ৭. গত দুদিন ধরে ইতু দরজা খুলছেনা। আসমা বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন, আসমার নানীকে দিয়েও চেষ্টা করিয়েছেন। নানী অবশ্য জানেননা যে ঠিক কি কারণে ইতু ঘরের খিল দিয়েছে। তবে তিনিও তাঁর মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শরীফ সাহেবও বেশকয়েকবার চেষ্টা করেছেন, তবে...
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে ৮. শরীফ সাহেব পুরোদস্তুর একজন নিজের হাতে নিজেকে গড়া ব্যাক্তি। তাঁর শৈশব কেটেছে বাবার সাথে সাথে, এজেলায় ওজেলায় ঘুরে ঘুরে। বাবা ছোটখাট ব্যাবসা করে কোনভাবে সংসার চালাতেন, তবে কোন জায়গায়ই বেশীদিন টিকতে পারতেননা। একটা না একটা ঝামেলা বেঁধে যেতই।...
চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা মতিন মিয়ার গৎবাধা জীবনে রংয়ের কোন ছোয়া একেবারেই নেই। বয়স পয়ত্রিশ ছুই ছুই করলেও বিয়ে সাদী করা হয়নি। ছোটখাট একটা চাকুরি করে যে কয়টাকা রোজগার হয়ে তা খরচ হয়ে যায় বুড়ো বাবা মাকে পালতে গিয়ে। শুকোনো খটখটে শরীরের মতিন মিয়ার জীবনটি গত দশটি বছর বন্দি হয়ে আছে...